আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, দলগতভাবে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে সেই দলের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য রাষ্ট্রের উদ্যোগ জরুরি। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বাহিনী বা সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পেলে জাতিসংঘের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় সম্ভব। বাহিনীর মধ্যে থেকে যারা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাদের বিচারের সঠিক স্থান এই ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, “কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বে নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি দল বা সংস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এর জন্য রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন আদালতে দলিল হিসেবে উপস্থাপন করা হবে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "যদি দলগত অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে সেই দলের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।"
তিনি এ ধরনের অপরাধের বিচারে নিরপেক্ষ তদন্ত ও কঠোর শাস্তির ওপর জোর দেন এবং বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।